সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়া স্বাভাবিক: পাবিপ্রবি ভিসি

সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়া স্বাভাবিক: পাবিপ্রবি ভিসি

সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়ার বৈধতা দিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী।

পাবনা প্রতিনিধি:সারাদেশ যখন মাদকমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে; ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি মাদকের পক্ষে কথা বলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের টিকটক ভিডিও ভাইরালের পর এবার সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়ার বৈধতা দিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী। ৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘গোল্ড বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ঐ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী।

অধ্যাপক রোন্তম আলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা করতে গিয়ে নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং সিগারেটের মধ্যে গাঁজা পুরে খাওয়ার কথা বলেন। তিনি এ সময় আরো বলেন, “আমরা দেখেছি, ঐযে গাঁজা, সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খেতো, এটা স্বাভাবিক। আমরা কিছু মনে করতাম না, স্বাভাবিক ছিলো।’

এই অনুষ্ঠানের ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, ‘একজন উপাচার্য যদি এভাবে প্রকাশ্যে সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়াকে স্বাভাবিক মনে করেন, তাহলে ছাত্ররা তার কাছ থেকে কি শিখবে?’

উপাচার্য রোস্তম আলী দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে এভাবে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছেন। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি বারবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। ইউজিসি এবং দুদক তাঁর বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ তদন্ত করছে। এর মধ্যে সম্প্রতি তিনি এক শিক্ষককে প্রক্টর নিয়োগ দেন, যার রোমান্টিক টিকটক ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে, যার আলোচনা সংসদে পর্যন্ত গড়ায়। সেই সমালোচনা থামতে না থামতেই এবার তিনি সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়ার বৈধতা দিয়ে সমালোচনা ঝড় তুললেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ‘উপাচার্য রোন্তম আলী একজন অন্য রকম লোক, কখন কি বলেন, তা তিনি নিজেই জানেন না। সিগারেটের ভেতর গাঁজা পুরে খাওয়ার বৈধতা দেওয়া তার জন্যে অস্বাবাবিক কিছু নয়।’ তবে স্যারের এমন ভাবে বলাটা ঠিক হয়নি। স্যার অন্য ভাবে বলতে পারতেন। এর মাঝে তিনি মাদক থেকেমযেমন সবাইকে দূরে থাকার জন্য বলেছেন। মানুষের মতো মানুষ হওয়ার কথা বলেছেন।

উপাচার্য রোস্তম আলীর সঙ্গে মোাবাইলে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে এক মহিলা বলেন,‘এটা রং নাম্বার।’ প্রশ্ন করি এর আগে এই নাম্বারে ভিসির সাথে আমি একাধিক বার কথা বলেছি। তনি বলেন,‘এটা রাজশাহীর নাম্বার’। আমি বললাম স্যারের বাড়ি তো রাশাহীতেই। তার পরেও ওই মহিলা পাশ কেটে বললেন,না এটা তার নাম্বর না।’ ফলে ভিসির সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।