ইউরোর শিরোপা হোমে নয়, রোমে

ইউরোর শিরোপা হোমে নয়, রোমে

ইউরোর শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো শিরোপা রোমে নিয়ে গেল আজ্জুরিরা

ইউরোর শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর ইউরো শিরোপা রোমে নিয়ে গেল  আজ্জুরিরা। ৯৬৮ সালে সর্বশেষ ইউরো জিতেছিল ইতালি। এরপর ২০০০ এবং ২০১২ সালেও ইউরোর ফাইনাল খেলেছিল আজ্জুরিরা। কিন্তু ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। এবার আর খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না কিয়েল্লিনিদের।  

খেলার নির্ধারিত সময় ছিল ১-১ ড্র। এরপর যোগ করা হয় আরো ৩০ মিনিট। সেখানেও গোল করতে ব্যর্থ হন দুই দলের ফুটবলাররা। যার ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

দলে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে স্পেনকে হারানো দলের ওপরই ভরসা রাখেন ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিড পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।

কাইরেন ট্রিপিয়ারের অ্যাসিস্টে ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা লুক শো। ইতালি প্রথম সুযোগ পায় ৮ মিনিটের মাথায়। কিন্তু ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট চলে যায় বারের বাইরে।

এরপরও ইনসিনিয়ে-কিয়েসারা চেষ্টা করেছেন কিন্তু সমতায় ফেরাতে পারেননি দলকে। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। 

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের গতি বাড়ায় ইতালি। অন্যদিকে কৌশল বদলে রক্ষণ খোলসে ঢুকে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ইতালির হাই প্রেস ফুটবলের সামনে দিশেহারা হয়ে পরে ট্রিপিয়ার, ফিলিপসরা। একের পর এক আক্রমণে তটস্থ হয়ে যায় পিকফোর্ড।

এই সুযোগেই নিজেদের ডেডলক ভাঙে ইতালি। ৬৭ মিনিটে স্কোর করেন লিওনার্দো বোনুচ্চি। কর্ণার থেকে পাওয়া বল ঠান্ডা মাথায় প্লেস করেন আজ্জুরিদের রক্ষণ সেনানী। আনন্দে ফেটে পরে নীল শিবির।

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোন দল গোল করতে পারিনি ফলে খেলা গাড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে ইতালির প্রথমটি গোল। শট নেন ডোমেনিকো বেরারদি। ১-০। ইংল্যান্ডের প্রথম শট নেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন, গোল। ১-১। ইতালির দ্বিতীয় শট নেন আন্দ্রে বেলোত্তি। ঠেকিয়ে দেন জর্ডান পিকফোর্ড। ১-১। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় শট, হ্যারি মাগুইরে। ১-২। ইতালির তৃতীয় শট নেন লিওনার্দো বনুচ্চি। গোল। ২-২।

ইংল্যান্ডের তৃতীয় শট নেন মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু বলটি তিনি মেরে দেন বাম পাশের পোস্টে। গোল হলো না। ২-২। ইতালির চতুর্থ শট নেন ফেডেরিকো বার্নার্ডেশি গোল। ৩-২। ইংল্যান্ডের চতুর্থ শট নেন জ্যাডন সানচো। ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষ ডোনারুমা। ৩-২।

ইতালির পঞ্চম তথা শেষ নন জর্জিনহো। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। ৩-২। ইংল্যান্ডের শেষ শট নেন বুকাইয়ো সাকা। তার শটও ঠেকিয়ে দেন ডোনারুমা। ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ফলে ইউরো কাপ হোমে থাকলো চলে গেল রোমে।