রাতের খাবারে কতটুকু ক্যালোরি দরকার?

রাতের খাবারে কতটুকু ক্যালোরি  দরকার?

রাতের খাবারে কতটুকু ক্যালোরি দরকার?

রাতের খাবার থেকে পরিমাণ মতো ক্যালরি গ্রহণ করা দরকার। বিষয় হলো, ক্যালরি গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো মাপ নেই। মানুষের জীবনধারণের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ঠিক করতে হয়। তবে রাতের খাবার থেকে একটু হিসাব করেই ক্যালরি গ্রহণ করা দরকার। বিশেষ করে যারা ওজন কমানোর লক্ষ্যে রয়েছেন। কারণ দিনের শেষে বেশির ভাগ সময়ই ভারী খাবার খাওয়া হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ম্যাকেঞ্জি বার্জেস এ ক্ষেত্রে বলেন, ‘শারীরিক অবস্থা আর পুষ্টির চাহিদার ওপর ভিত্তি করে একেকজনের ক্যালরি গ্রহণে মাত্রা একেক রকম হয়।’

এই পুষ্টিবিদ আরো বলেন, ‘একজন বডিবিল্ডারের তুলনায় একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ক্যালরির গ্রহণের মাত্রা এক হবে না। তবে সাধারণভাবে একজন সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে রাতের খাবার থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।’
এখন এই পরিমাণ ক্যালরির মাত্রা কিভাবে নির্ধারণ করা যায়?বার্জেস বলেন, ‘ক্যালরি সব কিছু নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই হবে প্রধান উদ্দেশ্য। সব মিলিয়ে ভারসাম্য থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু রাতের খাবারটা একটু ভারী হয় সেহেতু সেখানে থাকতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সবজি ও স্বাস্থ্যকর চর্বি।’

উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটা হতে পারে চার আউন্স বা আধা কাপ মাছ, আধা কাপ লাল-চালের ভাত, দুই কাপ সবজি অল্প অলিভ অয়েলে রান্না করা। আর এখান থেকেই মিলে যাবে ৫০০ ক্যালরি।’আরো হতে পারে, আধা প্লেট সবজির সাথে কোয়ার্টার মুরগির গোশত, সাথে এক প্লেটের চার ভাগের এক ভাগ শষ্য জাতীয় খাবার, সেটা হতে পারে ওটস।

‘এভাবে ভারসাম্য বজার রেখে খেতে পারলে পেটও যেমন ভরা থাকবে অনেকক্ষণ, তেমনি শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে। আবার অতিরিক্ত ক্যালরিও গ্রহণ করা হবে না।’ বলেন বার্জেস।তবে তিনি পরামর্শ দেন, যারা অতি স্থূল, তাদের উচিত পেশাদার পুষ্টিবিদের সাথে আলাপ করে খাবারের তালিকা প্রস্তুত করা। কারণ পুষ্টিবিদরা এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তারা একজনের জীবনযাপনের ধরন এবং সারাদিন কী খাবার খাচ্ছেন, কতটুকু পুষ্টি দরকার- সব হিসাব করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

আর মনে রাখতে হবে, যারা এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত নন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া বোকামি।বার্জেসের কথায়, ‘ডায়েট’ করার ক্ষেত্রে আশপাশে মানুষ অনেক কথাই বলবে। অনেকে নিজে কোনটা করে উপকার পেয়েছে সেটাও অনুসরণ করতে বলবে। তবে মনে রাখতে হবে একমাত্র পেশাদার পুষ্টিবিদরাই এই ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। আর অন্য কোনো সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে খাওয়া শুরু করলে দিন শেষে দুর্বল লাগার পাশাপাশি অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে।’