বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

ঢাকার একজন কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, তার স্ত্রী ও বাবা-মাসহ আটজনকে দায়ী করে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা হয়েছে। সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটি করেন মৃত তরুণীর বোন।এই মামলায় আনভীর ছাড়াও আরো আসামি করা হয়েছে মৃত তরুণী যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিকসহ আরো কয়েকজনকে।তবে বসুন্ধরা গ্রুপের একজন মুখপাত্র এই মামলাকে ‘অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বাদী বলছেন, ‘প্রথম দিনই আমি এই মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা নিয়েছে, বলেছিল যে, তদন্তে হত্যার বিষয়টি আসবে।’

‘তারপরে কি হয়েছে তো দেখাই গেছে, তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে আমরা নারাাজি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্থানান্তর করার জন্য আবেদন করেছিলাম। সেটাও গ্রহণ করা হয়নি।’তিনি বলেন, ‘সেজন্য আজ আমরাা সরাসরি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি করেছি।

বসুন্ধরা কী বলছে?
গত ২৬শে এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ১৮ই অগাস্ট অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।

এই মামলা প্রসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা মো. আবু তৈয়ব বলেছেন, আইনগতভাবে তারা এই মামলার মোকাবেলা করবেন।‘এটা বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র, একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে, তারই অংশ এটা।’তিনি বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট এবং অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই মামলা’।

সূত্র : বিবিসি