গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াতের ১০ নেতা গ্রেফতার

গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াতের ১০ নেতা গ্রেফতার

গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াতের ১০ নেতা গ্রেফতার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতাররে ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির আমির ডা: শফিকুর রহমান।সোমবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদসহ ১০ জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তাদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠক থেকে সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের সাতজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সরকার দীর্ঘ এক যুগ ধরে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার কেঁড়ে নিয়েছে। কোনো দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। সরকারের সবচাইতে জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে ও পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। শত জুলুম বুকে ধারণ করে জামায়াত নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের ১৮ মাসে জামায়াত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ। আমি সকল ষড়যন্ত্র ও জুলুম বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি