মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছায়া সরকারের

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছায়া সরকারের

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছায়া সরকারের

মিয়ানমারের জনগণকে দেশটির ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ছায়া সরকার। মঙ্গলবার মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুওয়া লাশি লা ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরক্ষার যুদ্ধ শুরু করছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের বিপ্লব হওয়ায় পুরো মিয়ানমারের সকল নাগরিক দেশের সব প্রান্ত থেকে মিন অং লাইংয়ের নেতৃত্বের সামরিক সন্ত্রাসীদের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করুন।’

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া অহিংস বিক্ষোভকে সামরিক উপায়ে জান্তা সরকার দমন করতে গেলে বিক্ষোভকারীরাও বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে নেয়।

মিয়ানমারের অবস্থা পর্যব্ক্ষেণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত এক হাজার ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সাত হাজার নয় শ' চারজন। বর্তমানে বন্দী রয়েছেন ছয় হাজার দুই শ' ৫৭ জন। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আরো এক হাজার নয় শ' ৮৪ জনের নামে।

সূত্র : আলজাজিরা