নবীন ছাত্রীদের আগমনে মুখরিত যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস

নবীন ছাত্রীদের আগমনে মুখরিত যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস

নবীন ছাত্রীদের আগমনে মুখরিত যশোর আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস

আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ যশোর ক্যাম্পাস মুখরিত হলো ১ম বর্ষের নবাগত ছাত্রী এবং ২য় ও ৫ম বর্ষের ছাত্রীদের আগমনে।

আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রধান গেটে ১ম বর্ষের নবীন ছাত্রীদের অভ্যর্থনা জানান ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সাবেক সিভিল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মো: সালাহ উদ্দিন খান। ছাত্রীরা নির্দিষ্ট শারীরিক  দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃংখলভাবে তাদের কাঙ্খিত ক্যাম্পাসটিতে প্রথম পা রাখলেন।

ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলে তাদের হাতে স্যানিটাইজার এবং শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ভেতরে প্রবেশ করান এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদা সুলতানা সুমী এবং ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শারমিন সুলতানা।

এরপর নবীন ছাত্রীদের ফখরে আলম লেকচার গ্যালারিতে স্বাস্থ্য বিধি মনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছা জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো: কামাল উদ্দীন। এসময় গাইনি এন্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মো: হাসানুজ্জামানসহ উপস্থিত অন্য শিক্ষকরা বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। পরে ছাত্রীদের হাতে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

দীর্ঘ দেড় বছর পর ক্যাম্পাসে পুরাতন এবং নবীন ছাত্রীদের আগমনে প্রানচা ল্য ফিরে আসে। নবীন ছাত্রীদের সাথে তাদের পিতা-মাতারাও প্রথম দিন সাথে আসায় মিলনমেলায় পরিণত হয় দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিকমানের ক্যাম্পাসটি।

গত জুলাই মাসে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত এই কলেজটি থেকে এবছর ১০ম ব্যাচে ১ম বর্ষের ছাত্রীদের ভর্তি সম্পন্ন হয়। মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের অন-লাইনে পাঠদান কার্যক্রম অব্যহত ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে তাদেরকে ক্যাম্পাসে আসার আহবান জানান কর্তৃপক্ষ।

১ম বর্ষের ছাত্রী নাফিসা আনজুম এবং তাসফীয়া জান্নাত তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মেডিকেলের ক্লাসগুলো স্বশরীরে করলে আমরা বেশি সুবিধা পাব। এতে করে আমরা প্র্যাকটিকাল অনেক কিছু হাতে কলমে শিখতে পারবো। স্যার-ম্যাডামদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ হবে। তাদের সান্নিধ্যে আমরা বেশি ভাল কিছু শিখতে পারবো। আর প্রথম বারের মত ক্যাম্পাসে আসাটা অব্যশই আমাদের জন্য খুশি এবং আনন্দের। মহান আল্লাহর কাছে আমরা শুকরিয়া জানায় যে আমরা দেরিতে হলেও ক্যাম্পাসে আসতে পারলাম। এছাড়া কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তারা।  

স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবক যশোর শহরের বাসিন্দা ফারুক ইকবল এবং এ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম। ক্যাম্পাসের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। এদিকে দীর্ঘ দেড় বছর পর ২য় ও ৫ম বর্ষের ছাত্রীরাও ক্যাম্পাসে সহপাঠিদের সাথে মিলিত হতে পেরে আনন্দিত। ক্যাম্পাসে ক্লাস করার সুযোগ পেয়ে তারাও খুশি।

কোভিড পরিস্থিতিতে এতদিন অন লাইনে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে স্বশরীরে ক্লাস নেয়া হবে। তবে সবাই যেনো করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে সে জন্য ছাত্রীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ছাড়াও ক্লাসে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে বসার পরামর্শ দেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো: কালাম উদ্দীন। আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এর মত দেশের সকল মেডিকেল কলেজে একযোগে চালু হলো স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম।