ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেট

ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেট

ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেট

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ এর উল্লেখিত ভূমি ব্যবহারের শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনসমূহ যাচাই বাছাই পূর্বক মন্ত্রীসভা কমিটির কাছে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কারিগরি কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ড্যাপ বাস্তবায়ন রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক জানান, ‘ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব পক্ষের সাথে যেমন নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থাপত্যবিদ, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং ড্যাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সভা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’

ড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর একটি মন্ত্রীসভা কমিটির সভা আয়োজন করা হয়েছিলো এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, করোনার মহাসংকটের কারণে ইচ্ছা থাকলেও আর মন্ত্রী সভার আয়োজন করতে না পারলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ছোট করে অনেক সভা করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। ড্যাপকে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত কাজ শেষ করতে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ করার জন্য কাজ করছি। দ্রুত শেষ করার জন্য সকলে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে। এই শহরের সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এবং বিধি বহির্ভূতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে যা রাজধানীর সৌন্দর্য মলিন করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, এই শহরে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয় না। আবার সরকারি খাল-বিল দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মান করা হয়। কোনো অবস্থাতেই এসব আর করতে দেয়া যাবে না। নকশা এবং বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন নির্মাণে প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নেয়া দরকার তা পর্যালোচনা করে ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করার পর বাস্তবায়িত হলে ঢাকার অনেক পরিবর্তন আসবে।সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি