অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড

অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড

অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড-

অস্ত্র আইনে হওয়া মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের পৃথক দুই ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে। সেক্ষেত্রে ১৫ বছর সাজা ভোগ করতে হবে মালেককে।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

এদিন রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর ফের তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ১৩ সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১ এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী আসামি মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ৪ এপ্রিল আসামি মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩ জন সাক্ষী আদালত সাক্ষ্য প্রদান করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন আদালত।