মেসির গোল শূণ্য,তবুও পিএসজির জয়

মেসির গোল শূণ্য,তবুও  পিএসজির জয়

ইকার্দির শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজির জয়

পিএসজির হয়ে কাল ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে লিগ ওয়ানের অভিষেক হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির। জাতীয় দলের এই সুপারস্টার সতীর্থকে দারুন এক জয় উপহার দিয়েছেন মাউরো ইকার্দি। স্টপেজ টাইমে  আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারের গোলে কাল লিগ ওয়ানে লিঁওকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে পিএসজি।

প্যারিসের জায়ান্টদের অল-স্টার আক্রমনভাগে সকলের থেকে এগিয়ে ছিলেন মেসি। যদিও তিনি গোল পাননি। কিন্তু বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা ইকার্দি মেসির অভিষেককে ম্লান হতে দেননি। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে বামদিক থেকে আসা কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান ইকার্দি। এর আগে ৫৪ মিনিটে লিঁওকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দারুন ছন্দে থাকা লুকাস পাকুয়েটা। ৬৬ মিনিটে নিজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে পিএসজিকে সমতায় ফেরান নেইমার। 

এবারের লিগে তারকা সমৃদ্ধ পিএসজি অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে থাকবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও নিজেদের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশা থেকেই প্যারিসের মাঠে সমর্থকরা উপস্থিত হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে দলীয় শক্তি বিবেচনায় এটাই হবার কথা। কিন্তু কালকের ম্যাচে প্রতিপক্ষ লিঁও ছেড়ে কথা বলেনি। পিএসজির সাথে সমান তালে তারা লড়াই করেছে। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে বেলজিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব ব্রুগের সাথে ১-১ গোলে ড্রয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করাটাও ছিল পিএসজির জন্য দারুন হতাশার।

ইকার্দির কল্যাণে যদিও এবারের মৌসুমে ৬ ম্যাচে ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেছে ফরাসি জায়ান্টরা। কিন্তু পুরো ম্যাচের পারফরমেন্স বিবেচনায় এখনো মরিসিও পচেত্তিনোর দল সবদিক থেকে নিজেদের সফল দাবী করতে পারছে না। এই জয়ে মার্শেইর থেকে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানেই রয়েছে পিএসজি। তাদের থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে লিঁও। 

প্যারিসের ক্যারিয়ারে  তিনটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও এখনো গোলের দেখা পাননি মেসি। কিন্তু কাল প্রথমার্ধে গোল না পাওয়াটা ছয় বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসির জন্য হতাশারই ছিল। নেইরাম, এমবাপ্পে ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা সবাই মাঠে থাকলেও মাত্র একটি বল মেসির কাছে এসেছিল যার থেকে গোলের সুযোগ তৈরী করা যায়। ১৭ মিনিটে এমবাপ্পের বাড়ানো পাসে মেসি শট নিলেও লিঁও গোলরক্ষক এ্যান্থনি লোপেজ দারুন দক্ষতায় তা রুখে দেন।

এরপর  নেইমারের সাথে মিলে মেসি আরো একটি সুযোগ সৃষ্টি করলেও সেটাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ৩০ মিটার দুর থেকে মেসির শক্তিশালী ফ্রি-কিক অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়। 
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেইমারও প্রায় একই রকম ভাবে একটি ফ্রি-কিক গোলে পরিণত করতে পারেননি। পিএসজির গোল মিসের মহরা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় লিঁও। ৫৪ মিনিটে কার্ল টোকো-একাম্বির লো পাসে পাকুয়েটা প্রথমবারের মত পোস্টের খুব কাছে থেকে পিএসজি গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন। ৬৬ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার মালো গুস্তোর চ্যালেঞ্জে পেনাল্টি আদায় করে নেন নেইমার

। লোপেজকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরাতে কোন ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচ শেষের ১৪ মিনিট আগে ফিটনেসের অভাবে ভুগতে থাকা মেসির স্থানে নামানো হয় আচরাফ হাকিমিকে। ইনজুরি টাইমে ইকার্দির হেডে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়। 

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বুধবার লিগ ওয়ানে মেটজ ও আগামী সপ্তাহে মন্টেপিলিয়ারের মোকাবেলা করবে পিএসজি।
দিনের আরেক ম্যাচে রেনেকে ২-০ গোলে পরাজিত করে এখনো পর্যন্ত লিগে অপরাজিত রয়েছে মার্শেই।
 সূত্র: বাসস