মদ ছাড়াও লিভারকে ক্ষতি করে যে পানীয়

মদ ছাড়াও লিভারকে ক্ষতি করে যে পানীয়

প্রতীকী ছবি

লিভার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। লিভার শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ পরিশোধন করে শরীরকে সুস্থ রাখে। যারা অত্যধিক পরিমাণে মদপান করেন, তাদের লিভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।

ফ্যাটি লিভার রোগের বড় কারণ অ্যালকোহল। অ্যালকোহলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার এবং হালের সমীক্ষা বলছে, যে কোনো বয়সেই এই ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯৪৮ সালে বস্টনে ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি নামক একটি গবেষণা শুরু হয়, যা এখনো চলছে। এই গবেষণা বলছে যে, শুধু অ্যালকোহল নয় অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয় বা অ্যালকোহলহীন সোডাও লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার আশঙ্কা তৈরি করে।

তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টিজাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যারা অ্যালকোহল পান করেন তাদের তুলনায় যারা নিয়মিত বোতলের ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের ফ্যাটি লিভারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সপ্তাহে একদিনও এই ধরনের পানীয় খাওয়া যথেষ্ট ক্ষতিকর। 

আমাদের লিভারে সাধারণত ৩-৪ পাউন্ড চর্বি থাকে। লিভার সেলের চারপাশেও কিছু চর্বি থাকে। এ চর্বির পরিমাণ কোনোভাবে বেশি হলে অর্থাৎ ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। 

সময়মতো চিকিৎসা না নিলে রোগ জটিল হয়ে লিভার সিরোসিসের মতো জটিলতা হতে পারে। লিভারের মধ্যে সাধারণত ৫ শতাংশ চর্বি শোষণ হতে পারে। যদি ৫ শতাংশের ওপরে চর্বি জমা হয়ে থাকে, তখনই আমরা একে ফ্যাটি লিভার বলে থাকি।
ফ্যাটি লিভার স্বাভাবিক থাকলে অর্থাৎ লিভার অ্যানজাইমগুলো যদি না বেরিয়ে থাকে, লিভারে কোনো প্রদাহ না থাকলে তাকে স্বাভাবিক ফ্যাটি লিভার বলা হয়। তবে ফ্যাটি লিভার থেকে লিভারে প্রদাহ হলে তাকে বলে স্ট্যাটো হেপাটাইটিস। অর্থাৎ ফ্যাটি লিভারের কারণে তার প্রদাহ হয়েছে। 

এ ছাড়া থাইরয়েড হরমোনে কোনো সমস্যা থাকলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। ডায়াবেটিস ওজন আধিক্য, চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।