চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতিতে ইবি কর্মকর্তারা

চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতিতে ইবি কর্মকর্তারা

চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতিতে ইবি কর্মকর্তারা

চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে ৬২ বছরে উন্নিত করাসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। বুধবার (২২ জুন) কর্মকর্তা সমিতির উদ্যোগে সকাল নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের সামনে ডায়না চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো, কর্মঘন্টা সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা এর পরিবর্তে আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের পদে প্রারম্ভিক বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ ও  উপ রেজিস্ট্রার ও সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ।

কর্মসূচিতে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম, সহসভাপতি রুহুল আমিন, মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। দাবি মানা না হলে তাঁরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। উপাচার্য স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন বলে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টি অস্বীকার করায় আমরা হতাশ হয়ে আবারো কর্মসূচি শুরু করেছি। দাবি মানা না হলে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আমরা সর্বোচ্চ মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত লিখে পাঠাতে পারি। তিনি অনুমোদন দিলে তবেই সম্ভব। আমার কাছে বাস্তবায়নের ঘোষণা চাওয়া অযৌক্তিক। বেতনের বিষয়ে এরআগে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল, কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। আগামী সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরো বলেন, এর আগে কর্মকর্তারা বেতনের বিষয়ে আমাকে কয়েকটি ডকুমেন্ট দেখিয়েছিলেন। আমি ডকুমেন্টগুলো দেখে তাৎক্ষণিক কনভেন্স হয়ে আশ্বস্ত করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম ইউজিসি থেকে বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে এটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, সে অনুযায়ী কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধও করে দিয়েছে। এ অবস্থায় তো আমি এটি চালু করতে পারি না। তবুও সামনের সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।