নকল বিড়ি ও ভারতীয় অবৈধ পাতার বিড়ি বন্ধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

নকল বিড়ি ও ভারতীয় অবৈধ পাতার বিড়ি বন্ধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

ছবি- নিউজজোন বিডি

রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল বিড়ি ও ভারতীয় অবৈধ পাতার বিড়ি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট জেলা বিড়ি শ্রমিক ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সোমবার বেলা ১১টায় সিলেট উপশহর মেন্দিবাগ পয়েন্টে অবস্থিত কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো হলো- সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা, বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আগ্রাসন বন্ধ করা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় বিড়ি শ্রমিক নেত্রীবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমান রাজস্ব আহরিত হয়। একইসাথে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের রুটি-রুজি এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তবে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী নকল বিড়ি ও ভারত থেকে চোরাই পথে আসা অবৈধ পাতার বিড়ি কমদামে বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সুতরাং বিড়ি শিল্পে শুল্ক কমানো হলে নকল বিড়ি ও অবৈধ ভারতীয় পাতার বিড়ি বাজারজাত কম হবে বলে আমরা মনে করি।

বক্তারা আরো বলেন, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। একইসাথে বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি এবং সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করতে হবে।

মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে “নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী বন্ধ করা করতে হবে, দেশ থেকে বহুজাতিক বেনিয়া হঁটাও বিড়ি শ্রমিক বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই, বিড়ির শুল্ক কমলে নকল বিড়ি বন্ধ হবে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে”সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।