গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি চায় ইবি শিক্ষক সমিতি

গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি চায় ইবি শিক্ষক সমিতি

গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি চায় ইবি শিক্ষক সমিতি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে এ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি কার্যক্রমের পক্ষে মত দিয়েছেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। একইসঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে এজেন্ডাভূক্ত করে আগামী একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার জন্য উপাচার্য বরাবর পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবিবার উপাচার্যের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে পত্র প্রেরণ করা হবে। সেখানে বর্তমান পদ্ধতিতে দীর্ঘসূত্রতা ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিসহ জটিলতাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির পক্ষে মত দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হবে।

শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, যে আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গুচ্ছ চালু হয়েছিলো তা পূরণ হয়নি। ভোগান্তি কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও বিচক্ষণতার অভাবে গুচ্ছ পদ্ধতি অকেজো ও মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। তাই আমরা গুচ্ছতে না গিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেখানে সেমিস্টার শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে গুচ্ছের অধীনে অধিকাংশ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ভর্তি কার্যক্রমই শেষ করতে পারেনি। দীর্ঘসূত্রিতাসহ ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অনেক অভিভাবক সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ঝুঁকছেন। এতে শিক্ষা নিয়ে যারা বাণিজ্য করে তারা উৎসাহী হচ্ছে।

এদিকে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার পর ছয় মাসে দশ দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করে ভর্তি কার্যক্রম শেষেও আসন পূরণ না হওয়ায় ৪৮১ আসন শূন্য রেখেই ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করেছে কতৃপক্ষ। শূণ্য আসন পূরণে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১তম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরও সাধারণ সভায় গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। এ সময় গুচ্ছে গেলে ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষকরা অংশ নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা। তবে পরবর্তীতে প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা শেষে শর্তসাপেক্ষে গুচ্ছে অংশগ্রহণের পক্ষে মত দেন শিক্ষকরা।