ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ

ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ

সংগৃহীত

অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার পদক্ষেপসহ পেনশন সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে, শনিবার ফ্রান্স জুড়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ।

বছরের শুরুতে, তিন দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের পর ইউনিয়নগুলো ধারণা করেছিল ১৯ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভে ব্যাপক জনসমাগম হবে। দশ লাখেরও বেশি মানুষ সরকারের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মিছিল করে।

ওইসিডি দেশগুলোর মধ্যে ফরাসিরা সবচেয়ে বেশি অবসরে থাকে। জনমত জরিপে দেখা যায়, এই সুবিধা বেশিরভাগ লোক ছেড়ে দিতে অনিচ্ছুক।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, পেনশন ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে এই সংস্কার ‘গুরুত্বপূর্ণ’।

লে ফিগারো সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবারের শেষ বিক্ষোভের তুলনায় প্যারিসে এই সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

ইউনিয়নগুলো আশা করছিল যে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর, প্রথম সপ্তাহান্তের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হবে। তারা আশা করেছিল, সব বয়স এবং পেশার লোকদের নিয়ে তারা সরকারকে দেখাতে পারবে যে সংস্কারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কতটা গভীর।

মধ্য পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ট্যুরসে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের বিক্ষোভের তুলনায় জনসমাগম উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ৪০ বছর বয়সী ফায়ারম্যান অ্যান্থনি শাওভিউ রয়টার্সকে বলেন, এই সংস্কারের বিরোধিতা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তার কাজের অসুবিধাগুলিকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, তারা আমাদের বলছে যে আমাদের আরো দুই বছর কাজ করতে হবে... আমাদের আয়ু অধিকাংশ শ্রমিকের চেয়ে কম।

প্যারিসের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও, কিছু ছোটখাট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একটি গাড়ি এবং কিছু আবর্জনার পাত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভে জড়িত কিছু অধিক কট্টর গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।

শনিবারের মিছিলের আগে সকল প্রধান ইউনিয়ন, এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারকে বিলটি প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে দাবি না মানা হলে আগামী ৭ মার্চ থেকে ফ্রান্সকে স্থবির করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।