দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে ২টি মনোনয়নপত্র

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে ২টি মনোনয়নপত্র

সংগৃহীত

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, এক ব্যক্তির নামেই ২টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি মনোনয়পত্র দাখিল করতে পারেন বলেও জানান জাহাংগীর আলম।

নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রোববার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। পরে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করা হয়।

ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, রোববার একই ব্যক্তির নামে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তার দফতরে বেলা ১১টা এবং বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মনোনয়নপত্র দুটি জমা দেয়া হয়। যার নামে দাখিল করা হয় তিনি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তার বাবার নাম মরহুম শরফুদ্দিন আনসারী। বাসা: হোল্ডিং নম্বর ৮৮/১, গ্রাম: শিবরামপুর, জেলা: পাবনা; পোস্টাল কোড-৬৬০০। মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারীর নাম নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থনকারী হলেন চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাছান মাহমুদ।


জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়নপত্র দুটি সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বাছাই শুরু হবে। বাছাইয়ে টিকলে, এদিনই প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা তার নাম গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন।

একক প্রার্থী হলে তার প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সোমবার বাছাইয়ের পরে বৈধ মনোনয়নগুলোর নাম ঘোষণা করা হবে। আইনানুগভাবে প্রত্যাহারের শেষ তারিখে আমরা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব কে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে যেহেতু একই ব্যক্তির দুটো মনোনয়ন দিয়েছেন; বাছাইয়ে টিকলে সোমবারই এটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বাছাইয়ে না টিকলে পরবর্তী সময়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলের পক্ষ থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন তিনি।

সংবিধানের ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সময় সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন ১৪০ জন। অন্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য সাতটি দলের। সে কারণে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আর ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হয়নি।