দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা

দূষিত শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা

ফাইল ছবি

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আজও শীর্ষে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা।

৩২৯ স্কোর নিয়ে আইকিউ এয়ারের দূষিত শহরের তালিকার বিপজ্জনক শ্রেণিতে রয়েছে ঢাকা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩২৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণিতে ছিলো। ২৬৬ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ঘানার আক্রা। এরপরই রয়েছে চীনের বেইজিং, যার স্কোর ২২৩।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয় যা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

এর আগে পুরো শীতকালজুড়ে (ডিসেম্বর ও জানুয়ারি) ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বসন্তকালে এসে তা আরও খারাপ অবস্থায় গিয়েছে।