ইউক্রেনে ৩০ হাজার ওয়াগনার সেনা হতাহত : যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে ৩০ হাজার ওয়াগনার সেনা হতাহত : যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত

রাশিয়ার সেনাদের সহযোগী ‘ভাড়াটে বাহিনী’ হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধরত ওয়াগনার গ্রুপটির ৩০ হাজারের বেশি যোদ্ধা হতাহতের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ হাজার সেনা সরাসরি যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এমন দাবি করে বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যতজন ওয়াগনার সেনা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগই জেল খাটা আসামি ছিলেন। যাদের ৬ মাসের চুক্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে এসেছিলেন ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোরিজিন।

জন কিরবি বলেন, দলটি নিজেদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অপরাধীদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছে। এটি কমে আশার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে ওয়াগনার নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন গত সপ্তাহে দাবি করেন, কারাগার থেকে তারা আর যোদ্ধা নিয়োগ করবেন না।

জন কিরবি আরো বলেন, কারাগার থেকে বের করেই তাদের কোনো প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সাংগঠনিক কমান্ড ছাড়াই নির্দয়ভাবে যুদ্ধের ময়দানে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে তারা হতাহতের শিকার হচ্ছেন।

জন কিরবি আরো দাবি করেছেন, শুধুমাত্র ডিসেম্বর থেকেই এ পর্যন্ত ৫ হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছে। মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত শহরে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ গেছে তাদের।

এর আগে গত মাসে ওয়াগনার গ্রুপকে ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় জন কিরবি বলেন, ইউক্রেনে বর্তমানে এই গোষ্ঠীর প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে।

ওয়াগনার গ্রুপের নেতা হচ্ছেন ইয়েভগেনি প্রিগোশিন, যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মিত্র।

অতীতে এই ওয়াগনার গ্রুপ সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কিছু দেশে তৎপর ছিল।

সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত ও সোলেডার শহর দখলের লড়াইয়ে ওয়াগনার গ্রুপ বড় ভূমিকা পালন করে।

তাছাড়া কয়েক দিন আগে উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার ট্রেনে করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র আনার যে গোয়েন্দা ছবি প্রকাশ পেয়েছে- সেসব অস্ত্রশস্ত্র পরে ওয়াগনার বাহিনীই ব্যবহার করেছে বলে বলা হচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা