ভারতকে হারিয়ে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

সংগৃহীত

রেফারির বাঁশি বাজা মাত্রই মাঠে দৌড়ে ঢুকে নামলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কারণ, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে রাশিয়ার কাছে হারের পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারায় ফিরেছে যুব বাঘিনীরা। এদিন ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চার পরিবর্তনে দল সাজান বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কখনও গোলপোস্ট, কখনও ভারতের গোলরক্ষক খুশির হাতে লেগে বল ফিরে আসে।

ম্যাচের ৫ মিনিটেই বক্সের ডান প্রান্ত থেকে পূজা দাসের ক্রস থেকে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সুরভি। কিন্তু সুরভি এই সুযোগ হাতছাড়া করলে শট নেন সুলতানা। তাতেও লক্ষ্যভেদ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ।

অন্যদিকে রক্ষণের ভুলে বাংলাদেশও গোল হজম করতে বসেছিল। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে অধিনায়ক রুমার ভুলে শট নেন ভারতীয় ফরোয়ার্ড পূজা। স্বাগতিকদের ভাগ্য ভালো হওয়ায়, তা গোলবারের দেখা পায়নি।

ম্যাচের প্রথমার্ধে এক মিনিটেই দুইবার সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ শিবির। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে বক্সের মুখ থেকে জয়নবের শট ঠেকিয়ে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক খুশি। এর একটু পরেই পোস্টের ওপর দিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের সুরভি।

ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে স্বাগতিকদের আবারও সুযোগ নষ্ট হয়। জয়নবের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু দুর্বল এক হেডে আবারও দলকে হতাশায় ফেলেন এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে অপ্রত্যাশিতভাবে গোলের দেখা পায় যুব বাঘিনীরা। ভারতের সীমানা থেকে ডানপ্রান্ত দিয়ে থ্রো থেকে আক্রমণে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু বক্সের ভেতর উঁচু লব করে ফেলেন। বল প্রতিহত করতে হেড করেন ভারতের আখিলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা ভারতের জালেই জড়িয়ে যায়। এতে আনন্দ-উল্লাসে মাতে স্বাগতিক দল।

আর ম্যাচের শেষ দিকে গোল হওয়ায় হতাশায় ডুবে ভারতের যুব বাঘিনীরা। যদিও ম্যাচে একাধিক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারতের মেয়েরা। কিন্তু বাংলাদেশের গোলরক্ষক সঙ্গীতার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় লাল-সবুজ শিবির।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নেপালের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।