দুই বাইকে সংঘর্ষ, চিকিৎসা খরচের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ!

দুই বাইকে সংঘর্ষ, চিকিৎসা খরচের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ!

ছবি- নিউজজোন বিডি

ইবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসে বাইক দুর্ঘটনার শিকার এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বাবদ অর্থের দাবিতে প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একদল শিক্ষার্থী। বুধবার (২৪ মে) বেলা পৌনে দুইটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেন। এতে দুপুর দুইটার শিফটের নির্ধারিত বাস ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে শিহাব উদ্দিন নামের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বাইকে করে যাওয়ার সময় সাদুল নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বাস চালকের বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে শিহাব আহত হন। একইসঙ্গে শিহাবের বাইক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বাইক ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত শিহাবকে বিবিদ্যালয়েল চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা চিকিৎসা খরচ ও বাইকের ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করলে তিনি গাড়ির চালককে ডেকে কথা বলেন। ও বিষয়টি নিয়ে বুধবার দেখা করতে বলেন। সে অনুযায়ী আজ বুধবার তারা পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসা খরচ প্রদানের দাবি করেন। এসময় পরিবহন প্রশাসক ওই চালকের থেকে প্রাপ্ত পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা এই পরিমাণ অর্থ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পরিবহন প্রশাসক প্রশাসনের একটি মিটিংয়ে চলে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে গিয়ে অবরোধ করেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো আটকে পড়লে এক ঘন্টা পর প্রক্টরের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে আলোচনায় বসেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদেরকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে আরো পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

 

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আহত হলেও প্রশাসনের কেউ তার খোঁজ নেয়নি। পরিবহন প্রশাসকের কাছে গেলে তিনি পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আমরা টাকা নিতে না চাইলে উনি আমাদের রেখে চলে যাওয়ার পর কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ফলে আমরা ফটকে তালা দিতে বাধ্য হই।

 

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এটি একান্তই দুইজনের ব্যাক্তিগত বিষয়। তাদের দুজনের মোটরসাইকেলে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পরিবহন দপ্তর সংশ্লিষ্ট নয়। তবুও আমি চালক সাদুলকে বলে তার সাধ্যের মধ্য থেকে শিক্ষার্থীকে টাকা দিতে বলেছি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি নিয়ে ফটক আটকে বিক্ষোভ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তারা চাইলে প্রয়োজনে উপাচার্যের নিকট জানাতে পারতো। এছাড়া আমার দপ্তরের কারো বিরুদ্ধে যদি বাজে ব্যবহারের অভিযোগ থাকে সে জন্য আমার কাছে অভিযোগ করা প্রয়োজন ছিল।

 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, জানার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।