আদম তমিজী হককে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে

ফাইল ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্য ও পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আদম তমিজী হককে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। তমিজী হক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একজন সদস্য।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ভিডিওটি বিব্রত ও বিভ্রান্ত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয় নয়, বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি তমিজী হক বিভিন্ন ধরণের কথা বলছেন। যদি তিনি সত্যি সত্যি পাসপোর্ট পুড়িয়ে থাকেন, তাহলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরলেই দলীয় সিদ্ধান্ত নেবো।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশছাড়া করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে আদম তমিজী হকের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও লাইভ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর আগে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানা দখলের অভিযোগ তুলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস ও লাইভে আসেন তিনি। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আপনারা এতদিন আমাকে ‘চুতিয়া’ ভেবেছেন। প্রয়োজনে আমি ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকেও ক্ষমতা থেকে নামাতে পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল এবং তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।