‘ওজোনস্তর রক্ষায় এইচসিএফসি’র ব্যবহার কমাতে কাজ করছে সরকার’

‘ওজোনস্তর রক্ষায় এইচসিএফসি’র ব্যবহার কমাতে কাজ করছে সরকার’

ছবিঃ সংগৃহীত।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্লান (স্টেজ-টু) বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসি’র ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এইচসিএফসি ফেজ আউটের জন্য এমন সব বিকল্প প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে, যা একই সঙ্গে ওজোনস্তর রক্ষা এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানির দুয়ার উন্মুক্ত হবে। সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। রূপান্তরিত এসি-গুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানির সুযোগ বাড়বে।

‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি- ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি’ প্রতিপাদ্যে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে পরিবেশ অধিদফতরের মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে  আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ট্রিল প্রটোকল অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ এবং ২০১৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশন এবং জাতিসংঘ পরিবেশ এবং ওজোন সেক্রেটারিয়েট কর্তৃক ২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদফতরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘মট্রিল প্রটোকল একটি টাইম বাউন্ড, লিগালি বাইন্ডিং ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিমেন্ট, তাই এটি বাস্তবায়নে আমাদেরকে আরও যত্নবান হতে হবে এবং যথাসময়ে এর প্রত্যেকটি বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।’ মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত অবশিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গেস্ট অব অনার ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিফেন লিলার, পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে ‘শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-২০২৩’ এ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে নারীদের উৎসাহিত করতে একজন সুবিধাবঞ্চিত নারী টেকনিশিয়ানকে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়।