ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তৃতীয়বারও পার্লামেন্টে হারলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তৃতীয়বারও পার্লামেন্টে হারলেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

থেরেসা মে

চেষ্টা করেও সংসদ সদস্যদের সমর্থন আদায় করতে পারছেন না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ফলাফল, টানা তৃতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে গেল ব্রেক্সিট চুক্তি। আজ শুক্রবার ৫৮ ভোটের ব্যবধানে নাকচ হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী মের চুক্তি।

থেরেসার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছেন ২৮৬ জন, আর তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৪৪ ভোট। এতে করে চলতি সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিতে সমর্থন আদায়ের যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সেটি আর হচ্ছে না—তা নিশ্চিত হয়ে গেল।

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমঝোতায় পৌঁছাতে এখন ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন থেরেসা মে। বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিপক্ষে রায় দেওয়ায় এবং একই সঙ্গে মে'র চুক্তিতে সম্মতও না হওয়ায় যুক্তরাজ্যকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘বিকল্প পথ’ খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মে। ব্রেক্সিট কার্যকর নিয়ে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তৃতীয়বারের মতো মের ব্রেক্সিট চুক্তি নাকচ হওয়ায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসবে ইউরোপীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এক টুইটবার্তায় জানান, আগামী ১০ এপ্রিল ইউরোপীয় কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

 

কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য ও ইউরোপীয় রিসার্চ গ্রুপ অব ব্রেক্সিটার কনজারভেটিভসের ডেপুটি চেয়ারম্যান স্টিভ বেকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মের পদত্যাগ করার উপযুক্ত সময় এটিই। বেকার বলেছেন, ‘থেরেসা মের চুক্তির এটিই শেষ পরাজয় হওয়া উচিত। এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় আমরা পেয়ে গেছি, এবার আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এই চুক্তি পাস হয়নি, আর হবেও না। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাঁর (থেরেসা মে) এবার নতুন কোনো নেতৃত্বের জন্য পথ ছেড়ে দেওয়া উচিত, যাতে সংসদে চুক্তি পাস হতে পারে।’

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মে জানিয়েছিলেন, সংসদ সদস্যরা তাঁর চুক্তিতে সমর্থন দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। চুক্তি পাস হলে ২২ মে ব্রেক্সিট কার্যকরের দিন দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন মে।