জবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

জবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ছবি: সংগৃহিত

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নামফলক পুনঃস্থাপন ও ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।

জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ স্লোগান দেয়। মিছিলের শেষদিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল সাদিক হৃদয়, তাওহীদ হাসান পিয়াস ও সৌরভ দাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা পিছন থেকে ধাওয়া করলে দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এসময় ছাত্রদলের চার কর্মী বেধড়ক মারধরের শিকার হন।

এতে গুরুতর আহত হন আব্দুর রশিদ, জিতু, পলাশ ও রুবেল নামে চার ছাত্রদল কর্মী। এদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী অর্থনীতি বিভাগের আব্দুর রশিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এবং পরবর্তীতে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পর জবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করি। হঠাৎ পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক (সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি) আশরাফুল আলম টিটন বলেন, ক্যাম্পাসে বুড়ো ও অছাত্রদের কোনো স্থান হবে না। দলীয় কার্যক্রমের নাম দিয়ে কেউ অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করলে আমরা বসে থাকবো না। তবে যাদের ছাত্রত্ব আছে তারা ক্যাম্পাসে আসুক, এতে আমাদের কোনো বাধা থাকবে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সকালে ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল করলে ছাত্রলীগের হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়। তার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা প্রথমে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় মিটফোর্ড হাসাপাতালে পাঠানো হয়।