বাস বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের আটকে প্রাণে বাঁচলো ৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

০৪ নভেম্বর, ২০২০

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পর্যটক বহনকারী বাস উল্টে অন্তত ৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের কারণেই ওই শিক্ষার্থীরা প্রাণে বাঁচলো বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাড়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। একটি বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের সাথে আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও গাড়িতে থাকা পর্যটকরা অধিকাংশই মারাত্মকভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনার পর পরই আহতদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ও দু'জনকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাড়িতে থাকা পর্যটক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদী বলেন, ছুটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আমরা ৫৪ জন সাজেক ভ্রমণে এসেছিলাম। সোমবার রাতে সাজেকে রাতযাপন শেষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে মঙ্গলবার রাতে আমরা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম। আমাদের বহনকারী বাসটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে ছেড়ে কিছুদূর আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আহতদের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মুহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ৫৪ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার আলুটিলার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাডে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসে থাকা অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।