রাজস্থান পুরনিগমের নির্বাচনে বিজেপির থেকে সামান্য এগিয়ে কংগ্রেস

০৪ নভেম্বর, ২০২০

কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দলের পর এটাই ছিল রাজস্থানের প্রথম নির্বাচন। আর তাতে শাসকদলকে কড়া টক্কর দিল বিজেপি। প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা হলেও খারাপ ফল করল কংগ্রেস । অশোক গেহলটের নেতৃত্বে মোট ৬টি পুরনিগমের মধ্যে মাত্র দুটিতে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে শাসকদল। দুটি পুরনিগমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপিও। বাকি দুটিতে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এই দুটি পুরনিগমেই বোর্ড গঠনে বড় ভূমিকা নেবে নির্দলরা। তবে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার দরুন বোর্ড গঠনের লড়াইয়ে সামান্য এগিয়ে হাত শিবির।

গত ২৯ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর দুই পর্বে রাজস্থানের মোট ৬টি পুরনিগমে নির্বাচন হয়। সেগুলি হল যোধপুর উত্তর, যোধপুর দক্ষিণ, কোটা উত্তর, কোটা দক্ষিণ, জয়পুর হেরিটেজ এবং জয়পুর গ্রেটার। এর মধ্যে যোধপুর উত্তর এবং কোটা উত্তরে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে জয়পুর গ্রেটার এবং জয়পুর দক্ষিণ আসনে। জয়পুর হেরিটেজ এবং কোটা দক্ষিণে বোর্ড গঠনের জন্য নির্দলদের উপর নির্ভর করতে হবে দু’দলকে। এর মধ্যে জয়পুর হেরিটেজ পুরনিগমে কংগ্রেস সামান্য এগিয়ে। তারা পেয়েছে ৪৭ আসন। বিজেপি পেয়েছে ৪২টি। ১১টি আসন গিয়েছে নির্দলদের দখলে। এখানে কংগ্রেসের বোর্ড গঠন মোটামুটি নিশ্চিত। কোটা দক্ষিণে দুটি দলই ৩৬টি করে আসন জিতেছে। নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন ৮ জন। এই নির্দলদের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যেই কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। মোট ৫৬০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬১টি জিতেছে কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছে ২৪২টি আসনে।

এই ফলাফলকে অবশ্য কংগ্রেস নিজেদের জয় বলেই দাবি করছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দাবি করেছেন, মোট ভোটের ৪০.৯ শতাংশ পেয়েছে কংগ্রেস। যা বিজেপির থেকে প্রায় ২.৫ শতাংশ বেশি। বিজেপি আবার বলছে, রাজ্যের মানুষ কংগ্রেসের অপশাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার দরুন তাঁরা সামান্য এগিয়ে। বস্তুত, স্থানীয় নির্বাচনে শাসকদলগুলির আধিপত্য নতুন কিছু নয়। তবে, রাজস্থানের শহরাঞ্চলে চিরদিনই বিজেপির আধিপত্য থাকে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দুই শিবিরই নিজেদের জয় দাবি করতে পারে।

সূত্র:সংবাদ প্রতিদিন