স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের পেশাগত কারণে ব্যথা ও তা প্রতিরোধে করণীয়

০৭ নভেম্বর, ২০২০

বর্তমানে মেকানিকাল ব্যথার রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছ। শারীরিক অক্ষমতার একটি বড় কারণ হিসেবে এই মেকানিকাল ব্যথাকে গণ্য করা হয়। স্বাস্থ্য পেশাজীবীরাও এই সংখ্যা থেকে বাদ পড়েন নি। পেশাগত কারণে স্বাস্থ্যপেশাজীবীদের মধ্যে অস্থিসন্ধির ব্যথা দিনে দিনে মারাত্বক রুপ নিচ্ছে। বিশেষ করে নার্সদের মধ্যে কোমর ব্যথা ও কাঁধ ব্যথার প্রবণতা বেশি। প্রতি বছর ৬-১১% স্বাস্থ্যপেশাজীবী  ব্যথার কারণে তাদের চাকুরী পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমাদের দেশে এই সংখ্যা অনেক বেশি। তাই কর্মক্ষেত্রের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পেশাজীবীদেরও নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন।

কোমর স্ট্রেচিংঃ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমরের পেছনে রেখে যতটুকু সম্ভব পেছনে দিকে বাঁকতে হবে( অনেকটা ধনুকের মতো) ৫ সেকেন্ড এভাবে থেকে সোজা হতে হবে। এটি প্রতি ২ঘন্টা কাজের ফাকে ফাকে ৩-৫ বার করলেই যথেষ্ট।

ঘাড় স্ট্রেচিংঃ ঘাড় ডানে বায়ে, সামনে পেছনে হেলিয়ে টানটান করে ৫ সেকেন্ড করে ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিন। এটি প্রতি ২ঘন্টা  পরপর ৫বার করুন।

কবজির ব্যয়ামঃ দুই হাত সোজা করে শক্ত করে মুষ্টি বন্ধ করুন, ৫ সেকেন্ড ধরে রেখে ছেড়ে দিন। এর ফলে কবজি ও হাতের আঙ্গুলের ব্যথা কমবে।

অ্যাঙ্কেল সার্কেলঃ চেয়ারে বসে প্রতি ১-২ঘন্টা পরপর পায়ের পাতা সামনে পেছনে এবং পায়ের গোড়ালি চতুর্দিকে ঘুড়ান ১০ সেকেন্ড।

 

 

মেহেরুন নেসা

ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ