১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়ানোর পর কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার।
দেশটিতে স্কুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বুধবার থেকে বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে।
চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল মনে করছেন, ক্রিসমাসের কেনাকাটার সময় একে অপরের সংস্পর্শে আসায় ভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
সবশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, জার্মানিতে আরো ২০ হাজার ২০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩২১ জন মারা গেছেন।
নতুন ওই লকডাউন ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
দেশটির ১৬টি স্টেটের নেতাদের সাথে বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। মিসেস মের্কেল বলেছেন, ‘একটা পদক্ষেপ নেয়ে জরুরি ছিল।’
রেস্টুরেন্ট, বার ও অবকাশ কেন্দ্রগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ আছে এবং কিছু এলাকাও আগে থেকেই লকডাউন অবস্থায় রয়েছে।
নতুন করে দেশব্যাপী যে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও খাবারের দোকান, ব্যাংক, ও ক্রিস্টমাস ট্রি-র দোকান খোলা থাকবে।
চুল কাটার সেলুন অবশ্যই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যাতে করে তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। কেয়ার হোমগুলোতে করোনাভাইরাস টেস্ট করতে দেয়া হবে।
নববর্ষ পালনে বিধিনিষেধ
শুধু বড়দিন নয়, নতুন বছর ২০২১ কে বরণ করে নেয়ার জন্য যে বিশাল আয়োজন করা হয়, সেখানে থাকছে নানা বিধি নিষেধ। আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনসমাগম স্থলে মদ্যপান করা নিষেধ করা হয়েছে।
দেশটির অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যেসব ব্যবসা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরকে প্রতিমাসে সরকার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ইউরো সাহায্য করা হবে।
এক বাসায় দুই পরিবার থেকে পাঁচজনের বেশি একত্রিত হতে পারবে না।
তবে ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তখন একটি বাসায় অন্য একটি বাসা থেকে সর্বোচ্চ চারজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে আমন্ত্রণ জানানো যাবে।
জার্মানির দ্বিতীয় জনবহুল এলাকা বাভারিয়াতে রাতের বেলা কারফিউ চলবে, কারণ এখানে সংক্রমিত হওয়ার হার অনেক বেশি।
চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ওপর চাপ কমানোর জন্য একটি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি ছিল।’
সূত্র : বিবিসি