১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
মায়ানমার সেনাবাহিনীর গণ ধর্ষণের শিকার এক নারী চার ধর্ষক সৈন্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সাহসী নারী এক মাসের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সামরিক আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন। সেনাবহিনীর বিপক্ষে আইনি লড়াইয়ে জয়ের এটি এক বিরল ঘটনা। স্বচ্ছ তদন্ত শেষে শনিবার সামরিক আদালত তিন ধর্ষকের বিরুদ্ধে রায় ও সাজা ঘোষণা করে।
রায়ে তিন ধর্ষককে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওই ন্যায় বিচার অনেক নির্যাতিতদের সত্যের পক্ষে কথা বলার ও সেনাবাহিনীর অপকর্মের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে সাহস জোগাবে।
৩৬ বছরের ওই ভুক্তভোগী মা মায়নমারের সব থেকে শক্তিশালী সংগঠন সেনাবহিনীর চার সৈন্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠন অনেক আগে থেকে দেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করে আসছে।
চলতি বছর জুনে দক্ষিণ রাখাইন প্রদেশে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ওই প্রদেশে রাখাইন জনগোষ্ঠীর স্বাধিকারের জন্য গত দু’বছর ধরে মায়ানমার সশস্ত্র বাহিনী ও আরাকান সৈন্যদের মাঝে লড়াই চলছে।
থিন নু (ছদ্মনাম) এএফপি সংস্থাকে বলেন, আমার মতো অনেক নারীকে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তবে তাকে এখনো সামাজিকভাবে নানা অপমান ও লাঞ্চনার শিকার হতে হয়। এমনকি তার স্বামীও তার পক্ষে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
থিন নু বলেন, আমি খুব আনন্দিত। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না সামরিক ট্রাইবুনাল আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে এই রায়ের পর যে ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে তা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ ওই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে সৈন্যরা দু’মুখী আচরণ করে ও তারা সবাই অবিশ্বস্ত।
সূত্র : আল জাজিরা