এমপি পাপুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলা

২২ ডিসেম্বর, ২০২০

কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) পল্টন থানায় মানি লন্ডারিং আইনে এই মামলাটি দায়ের করে সিআইডি।  মামলায় ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা পাচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় এমপি পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে আগাম জামিন না দিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।

কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন পাপুল। যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।