করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবাণী

২৯ ডিসেম্বর, ২০২০

সম্প্রতি ব্রিটেনে চিহ্নিত হয়েছে করোনার নতুন রূপ। আগের করোনার চেয়ে নতুন রূপের করোনা ৭০ গুণ দ্রুত ভাইরাস ছড়াচ্ছে। ফলে এ বারের করোনা নিয়ে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়েছে পুরো বিশ্ব। নতুন রূপের করোনা ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফ্রান্স, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কানাডা, জাপান, কোরিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এই ধরনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্বব্যাপী মহামারি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যুক্তরাজ্যে মহামারি রোধে বিধিনিষেধ আরও কঠোরের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নতুন স্ট্রেইনের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ব্যস্ত লন্ডন পরিণত হয়েছে ভুতুরে শহরে। ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে শেষের দিকে প্রথম করোনা শনাক্তের পর তা রোধে ঠিক একই অবস্থা হয় চীনের উহান শহরের। গত ১৪ ও ২৩ ডিসেম্বর করোনার নতুন দুটি ধরন শনাক্তের পর বিধি নিষেধ আরও কঠোরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। ইংল্যান্ডের সবগুলো অঞ্চলকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটি।

যুক্তরাজ্য হয়ে করোনার নতুন ধরন অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, আইসল্যান্ডের পর এবার কানাডা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও শনাক্ত হয়েছে। করোনার চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক হওয়ায় তা আরও অনেক দেশে খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদেশি নাগরিকদের জাপান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিজেদের নাগরিকদের দেশে প্রবেশে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতা মূলক করেছে অধিকাংশ দেশ। বন্ধ রয়েছে ফ্লাইট চলাচলও।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সঙ্গে নতুন ধরন যুক্ত হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। যেকোনো মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় রাতে কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

চলমান করোনা মহামারিকে সতর্কবার্তা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, সামনের বছর মহামারি আরো প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় এখনই দেশগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।