শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার মত শিক্ষাবিদ কি বাংলাদেশে আছেন?

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু সবাই কি তাতে অংশগ্রহণ করতে পারছে? 

দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ক্যাম্পস বন্ধ থাকার ফলে বড় ধরণের সেশন জটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশে বর্তমানে সকল কার্যক্রম চলছে শুধু বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মটর শ্রমিকদের হাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তার এক দিন পর খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছে এলাকাবাসী। এভাবে চলতে থাকলে জুনিয়র স্কলারদের উপর হামলা চলতে থাকে তাহলে শিক্ষার আর মর্যাদা কোথায় রইল? এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের কতটুকু করণীয় রয়েছে? শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে শিক্ষকদের বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি করা উচিত?

একজন সাধারণ ছাত্রের জায়গা থেকে ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি তাইবুর রহমান তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলো ধরা হলো-

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে লিখলাম।

বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষাবিদ কি আছেন যিনি 

শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন?

শিক্ষার্থীদের মনের চাওয়া বুঝতে পারেন?

আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উপাচার্য, যাঁরা শিক্ষার্থীদের উপর কোন আঘাত আসার আগে দুই হাত প্রসারিত করে নিজের বক্ষ পেতে দিবেন। 

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কারন শিক্ষার্থীরা মনে করে পিতামাতার পরে শিক্ষকদের স্থান আর আপনারা মনে করেন এতগুলো সন্তানের দায়িত্ব কিভাবে নিব।

সরকার কি সিদ্ধান্ত দেয় সেটা তাদের ব্যাপার।

কিন্তু আপনারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে গঠনমূলক প্রস্তাবনা সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারতেন।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গতমাসের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছে আর আজ ২১ ফেব্রুয়ারী।

শিক্ষার্থীদের কথা আর কেউ চিন্তা করুক বা নাই করুক অন্ততপক্ষে আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উপাচার্যরা একটা প্রস্তাবনা দিতে পারতেন সরকারের কাছে।