২৩ এপ্রিল, ২০২১
রাজধানীর পুরান ঢাকায় আরমানীটোলায় ছয়তলা ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় আরো ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাজী মুসা ম্যানসনের ৬তলার চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে চার জনে।
নতুন করে উদ্ধার হওয়া নিহতের নাম কবির। এর আগে দুর্ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের দুজন ভবনটির দারোয়ান রাসেল মিয়া এবং ওলিউল্লাহ। নিহত নারী ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া (২২)।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, নিলুফা নামে এক নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তারা। তার প্রচন্ড শাশ্ব কষ্ট হচ্ছিল। ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ওই ভবনের ছাদে আটকা পড়েন ভবনের বাসিন্দারা। তাদেরকে জানালা ও বারান্দার গ্রিল কেটে বের করে এনেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিনকর্মীসহ ২১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে মিটফোর্ট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে হতাহত বাড়ার আর শঙ্কা নেই।
আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, ‘এ পর্যন্ত ২২ জন আসছে, তাদের সবার কেমিক্যালের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। একজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।’
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সেহরির সময় রাত ৩টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আবাসিক ভবনের (হাজী মুসা ম্যানসন) নিচতলায় রাসায়নিক গুদামে লাগা আগুন সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় ছয়তলা ভবনটিতে নিচতলায় কেমিকেলের গোডাউন ও কয়েকটি দোকান রয়েছে এবং দোতলা থেকে পাঁচতালা পর্যন্ত লোকজন বসবাস করে।