হামাসের ২ শর্তই মেনে নিয়েছে ইসরাইল

২১ মে, ২০২১

গাজা উপত্যতা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতির জন্য তারা যে দুটি শর্ত দিয়েছিল, উভয়টিই মেনে নেয়া হয়েছে। প্রথম শর্তটি ছিল আল-আকসা মসজিদে 'ইসরাইলি আগ্রাসন' বন্ধ করা, দ্বিতীয় শতটি হলো পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ বন্ধ করা। হামাদ দাবি করেছে, দুটি দাবি পূরণের ব্যাপারে তাদেরকে 'নিশ্চয়তা' দেয়া হয়েছে।

তবে ইসরাইলের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, হামাসের এই দাবি ভুয়া। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে কন্ট্রিবিউটিং সংবাদদাতা বারাক রাভিদ এক্সিয়স নিউজ সাইটকে এ তথ্য জানান।

এর আগে হামাসের সিনিয়র এক নেতা হিজবুল্লাহ সমর্থক আল মায়াদিন নেটওয়ার্ককে জানান, আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহয় 'ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ' হওয়ার নিশ্চয়তা হামাস পেয়েছে। ওসামা হামদান এসব নিশ্চয়তার বিস্তারিত বর্ণনা দেননি। কিংবা কিভাবে তা বাস্তবায়িত হবে, তাও জানাননি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল গাজা ও ইসরাইল যাবে।

মিসর এই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরাইল ও হামাস
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরাইল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। উভয় পক্ষই বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ১১ দিন যুদ্ধের পর দু'পক্ষ বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়। স্থানীয় সময় রাত দুটায় (২৩.০০ জিএমটি, বৃহস্পতিবার) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

মিসরের উদ্যেগে এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে। অবশ্য এতে কোনো পূর্বশর্ত নেই। মিসর এখন আশা করছে, ইসরাইল ও গাজায় প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করার।

হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, তারা তাদের দুই শর্তের ব্যাপারে অনির্দিষ্ট ছাড় পেয়েছেন। যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের দুই শর্ত ছিল শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা যাবে না এবং আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরাইলি পুলিশের উপস্থিতি থাকতে পারবে না।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের দাবি সম্পূর্ণ ভুল।

যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই গাজায় নতুন করে ইসরালি বিমান হামলা হয়, ইসরাইলে রকেট নিক্ষিপ্ত হয়। এদিকে ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সকল ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতেই পরিস্থিতির নাজুকতা ফুটে ওঠে।
এমনকি যুদ্ধবিরতির মধ্যেও কোনো কিছু নির্ধারিত হয়নি।

১১ দিনের ইসরাইলি হামলায় গাজায় অন্তত ২৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ৬৫ জন। আর ইসরাইলে দুই শিশুসহ নিহত হয়েছে ১২ জন।

সূত্র : বিবিসি ও আল জাজিরা