খালেদাকে দোষ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আনিসুল হক

৩০ জুন, ২০২১

চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আগে তাঁর দুর্নীতির অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

বুধবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেয়ার সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, খালেদা বিদেশে যেতে চাইলে নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

আনিসুল হক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানান, তাঁর (খালেদা জিয়া) জন্য এই একটি মাত্র আইনি পথ খোলা আছে। কেউ যদি অন্য কোনও আইনি উপায় দেখাতে পারেন, তবে তিনি তাঁর আইন পেশা ছেড়ে দেবেন।

এ সময় আইনমন্ত্রী বিএনপির দুই সংসদ সদস্যের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে সরকার উন্নততর চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেশ ছাড়তে দিচ্ছে না।

সংসদে ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও মোশারফ হোসেইন দাবি করেন, সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের আবেদনে তাঁরা আইনের কোনও বিধানের কথা উল্লেখ করেননি।

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দণ্ডবিধির ৪০১ এর আওতায় আগের আবেদন বিবেচনা করে তাঁর দুর্নীতির সাজা স্থগিত করেছে এবং তাকে দুটি শর্তে মুক্তি দিয়েছে।

দুটি শর্তের একটি হলো, তিনি দেশে তাঁর নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তাঁরা (খালেদা জিয়ার পরিবার) এটি মেনে নিয়েছিল। তাঁরা বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

খালেদাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিএনপি নেতাদের বারবার আবেদনের প্রতি ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, একবার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেলে তা পুনর্বিবেচনা করা যায় না। তাঁরা আবেদন করেছেন এবং কিছু শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তাঁরা বলছেন, তাকে বিদেশে যেতে হবে। সেই অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আগের আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। এ নিয়ে আর কেউ কিছু করতে পারে না। এই আবেদনটি ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি হয়েছে। -ইউএনবি