১৭ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
তিনি বলেন, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করা হবে।ওবায়দুল কাদের শনিবার তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন। তাই শোকের এ মাসে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। এজন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, গ্রামে গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এমতাবস্থায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণ কাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহনসমূহ আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীর গতি রয়েছে।এমতাবস্থায় মন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দক্ষতার সাথে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানান।
সূত্র : বাসস