টুং টাং শব্দে মুখরিত কুমিল্লার কামারপাড়া

১৯ জুলাই, ২০২১

করোনায় থেমে নেই কামার পাড়ার কারিগররা। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দা-ছুরি-বটি বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঝুঁকির ভয় কাটিয়ে ক্রেতা সমাগম ক্রমেই বাড়ছে। কোরবানীর ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ দা-বটি-ছুরিসহ লোহার তৈরি নানা পণ্য সাধারণ মানুষের কেনাকাটার তালিকায় থাকে সবসময়। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল করে দেয়ার পরও করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির ফলে ক্রেতা কিছুটা কম থাকলেও টং টাং শব্দে মুখরিত কুমিল্লার কামারপাড়া।
বছরের অধিকাংশ সময়ই কামার পাড়ার হাতুড়ীর টুং টাং শব্দ খুব একটা শোনা না গেলেও প্রতিবছর ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে টুং টাং শব্দে তাদের উপস্থিতি জানান দেন কামার সম্প্রদায়। আর ১ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা হওয়ায় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দা, বটি, ছুরি শান দেওয়া ও নতুন তৈরিতে যেন দম ফেলার সুযোগ নেই তাদের। এসময় কামাই-রুজি বেশী হওয়ায় কামার ও কারিগরদের মনেও বেশ আনন্দ লক্ষ্য করা যায়।
হাতুড়ী পেটানো আর হাপড়ে বাতাস দিয়ে আগুনের কাছে বসে থাকা অনেক কষ্টসাধ্য হলেও অধিক দামে পণ্য বিক্রি করতে পারলে অনেকটা দূর হয়ে যায় তাদের সেই কষ্ট। দা, বটি, ধামা ও ছুরি কোরবানীর আবশ্যকীয় জিনিস হওয়ায় সাধারণ মানুষ ছুটছেন কামারদের কাছে। তবে নতুন ছুরি ও অন্যান্য সরঞ্জামের দাম একটু বেশী হওয়ায় ঘরে থাকা পুরানোগুলোতেই শান দিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ।
কুমিল্লা শহরের গোয়ালপট্রি সড়কে এক সময় সারি সারি কামার দোকান থাকলেও কালের বিবর্তনে এবং বছরের অন্যান্য সময় কাজ না থাকায় এখন মাত্র ৬-৭টি দোকান দেখা যায়। অবশ্য বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরো একাধিক দোকান। এসব দোকানে সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 
কুমিল্লার গোয়ালপট্রি এলকার রঞ্জিত ও অরুন কর্মকার বাসসকে জানান, পর্যাপ্ত কাজ না থাকায় বছরের অধিকাংশ সময় বসে থাকতে হয়। তাই বছরের অন্যান্য সময় কাজ না থাকায় কামাররা অন্যান্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে কারিগর সংকট এর পাশাপাশি বর্তমানে কয়লা এবং লোহার দামও বেশি। তাই কোরবানীর ঈদেই দা, বটি এবং ছুরি শানের দামটা একটু বেশি থাকে।

 

সূত্র: বাসস