‘ব্রিটিশ সরকার নয়, ইসিবির সিদ্বান্তে পাকিস্তান সফর বাতিল’

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আগামী অক্টোবরে  নির্ধারিত পাকিস্তান সফর বাতিল  করেছে ইংল্যান্ড  পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল। এই সিদ্বান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), সফর বাতিলে যুক্তরাজ্য সরকারের কোন চাপ বা হাত ছিলো না বলে জানালেন পাকিস্তানে থাকা ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান টার্নার।
তিনি জানান, একক সিদ্বান্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করে ইসিবি। এখানে যুক্তরাজ্য সরকারের কোন হাত ছিলো না। এই সফরে ইংলিশ হাইকমিশনের পূর্ণ সমর্থন ছিল।
আগামী ১৩ ও ১৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। এরপর পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডের সূচি ছিলো ইংল্যান্ডের নারী দলের। এই সফর দিয়ে ১৬ বছর পর পাকিস্তান সফর করার কথা ছিলো ইংলিশদের। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল বহনকারী বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকে পাকিস্তান সফর থেকে   বিরত ছিল আন্তর্জাতিক দলগুলো।
সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণে সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যায় নিউজিল্যান্ড। এবার নিউজিল্যান্ডের পথে হেঁটে পাকিস্তান সফর বাতিল করে ইংল্যান্ডও।
তবে নিউজিল্যান্ডের মত নিরাপত্তা ইস্যুর কারন দেখিয়ে সফর বাতিল করেনি ইংল্যান্ড। তারা জানিয়েছিলো, এই অঞ্চলে ভ্রমণ নিয়ে দুর্ভাবনা ও কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ না বাড়াতেই সফর বাতিল করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট করে টার্নার বলেন, ‘অক্টোবরে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড আসবে না, এজন্য আমি এদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা ক্রিকেটারদের কল্যাণে সফর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি। যারা ব্রিটিশ সরকার থেকে স্বাধীন। ব্রিটিশ হাইকমিশন এই সফরকে সমর্থন করেছিল। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কোন পরামর্শ নেয়নি। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ পরিবর্তন হয়নি।’
এবারের সফর বাতিল করলেও, ২০২২ সালের সফর নিয়ে ইতিবাচক ইসিবি। তাই ঐ সফরটি সফল করতে  যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে বলে নিশ্চিত করেন টার্নার।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর পক্ষে আমি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফরের জন্য আমি দ্বিগুণ চেষ্টা করবো। আগামী মাসে বাতিল হওয়া  সিরিজের জন্য যারা কঠোর পরিশ্রম করেছে সংশ্লিষ্ঠ  সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, ।’

সূত্র: বাসস