সাংবাদিক শিরিনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রামাল্লায় লাখো মানুষ

১২ মে, ২০২২

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত আল-জাজিরার প্রখ্যাত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর মরদেহ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে আনা হয়েছে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লাখো মানুষ। খবর আল-জাজিরার।

বুধবার (১১ মে) জেনিন শহরের কাছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা অভিযানের মধ্যে দায়িত্বপালনের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিত নিহত হন ৫১ বছর বয়সী সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ।

বুধবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহত সাংবাদিক শিরিনের মরদেহ নাবলুস শহর থেকে রামাল্লায় আনা হয়। তার মরদেহ রামাল্লায় পৌঁছানোর আগেই পুরো শহরে অসংখ্য লোক জমায়েত হয় তাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। তার বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা জড়ো হন আল-জাজিরার অফিসের সামনে।

আলজাজিরার প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, কয়েকশ ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্স থেকে সাংবাদিক শিরিনের মরদেহ মরদেহ নামিয়ে নিয়ে আসছে।

এ সময় আল-জাজিরার প্রতিবেদক নিদা ইব্রাহিম জানান, ‘শিরিনের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে আলজাজিরার অফিসের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। আমরা দেখছি, তার সহকর্মীরা, বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনরা তার প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।’

ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে শিরিন নিহৎ হওয়ার পাশাপাশি আরেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও গুরুতর আহত হন। তার পিঠে গুলি লাগে, তবে তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের কর্মকর্তা এবং আল-জাজিরার প্রতিনিধিরা জানান, বুধবার জেনিন শহরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করার সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিরিন। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিরিনের সহকর্মী ও আল-জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম বলেন, আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। শিরিন দয়ালু, কর্মঠ ও নিবেদিতপ্রাণ একজন সাংবাদিক ছিলেন। নিজের কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন তিনি। শিরিন হিব্রু ভাষা শিখছিলেন। কারণ তিনি ইসরাইলের গণমাধ্যমের বর্ণনা আরও ভালোভাবে বুঝতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি ডিজিটাল মিডিয়ার ওপর ডিপ্লোমাও শেষ করেন।