পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৩ আগস্ট, ২০২২

পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। অল্প দিনের মধ্যেই বড়দের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

তিনি শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে আমরা শুরু করেছি। আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে সিটি করপোরেশনগুলোতে আগে টিকাদান শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই দেয়া হবে। বিশেষ করে স্কুলগুলোতে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোভিড ভালো অবস্থানে আছে। এখন মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে এসেছে এবং সংক্রমণও ৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। যারা এখন করোনায় মৃত্যুবরণ করছেন তারা করোনার টিকা নেননি।

চার কোটি লোক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো যারা কারোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি তারা অতি শিগগিরই নিয়ে নিবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

জাহিদ মালেক বলেন, যারা অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা অল্প ওজনে যেসব নবজাতকরা জন্মগ্রহণ করে তাদের জন্য বিশেষ একটি ব্যবস্থা লাগে সেই ব্যবস্থাটাই হলো স্ক্যানো। শিশুদের এখানে রাখা হয় এতে করে তাদের জীবন রক্ষা হয়। সেই পেক্ষিতেই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১৫ শয্যা বিশিষ্ট নবজাতকের বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০/৩২ জন শিশু মৃত্যুবরণ করে। আমাদের এসডিজি অর্জন করতে হলে শিশু মৃত্যুর হার ১২-তে নামিয়ে আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে এই ১৭ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানো ইউনিট) স্থাপন করা হলো। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৪০/৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

এসময়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে হাসপাতাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।