০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
আল কায়েদার আরব উপদ্বীপ শাখা (একিউএপি) শনিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ছয় মাস আগে অপহরণ হওয়া এক জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তাকে দেখা যায়। বিষয়টি সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে।
ভিডিওতে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তা একেএম সুফিউল আনাম বলেন, ‘বর্তমানে আমি আল কায়েদার হাতে বন্দী। ছয় মাস হয়ে গেছে, কোথায় বন্দী করা হয়েছে তা আমি জানি না। আমি কোথায় আছি তা আমার পরিবার জানে না। আমি যদি মারাও যাই তাও আমার পরিবার জানতে পারবে না।’
সম্ভবত ৯ আগস্ট ধারণ করা ভিডিও বার্তায় সুফিউল আনামকে জাতিসঙ্ঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে অনুরোধ করতে শোনা গেছে, দয়া করে এগিয়ে আসুন এবং আমার অপহৃতদের দাবি পূরণ করুন। তবে নির্দিষ্ট কোনো দাবির উল্লেখ ছিল না ভিডিওতে।
৬৫ বছর বয়সী এই বাংলাদেশী দাবি করেছেন যে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জরুরি প্রয়োজন ছিল।
সুফিউল আনাম ইয়েমেনে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অফিসের পরিচালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি তার চার সহকর্মীকেও অপহরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ভিডিও ও মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশের পর অপহৃত বাংলাদেশী জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তার একজন আত্মীয় তার ফেসবুক প্রোফাইলে সুফিউল আনাম এবং তার দলকে মুক্ত করতে গণমাধ্যম, বাংলাদেশ সরকার, জাতিসঙ্ঘ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
সাদিয়া হেদায়েত নামের সুফিউলের স্বজন লিখেছেন, ‘ছয় মাসেরও বেশি আগে আমার চাচা সুফিউল আনামকে অপহরণ করা হয়েছিল যখন তিনি এবং তার দল ইয়েমেনের এডেনের কাছে একটি ফিল্ড মিশন থেকে ফিরছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন এবং জাতিসঙ্ঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কোঅর্ডিনেশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ১৭ বছরব্যাপী তার জাতিসঙ্ঘের কর্মজীবনের পরে তিনি এই বছর অবসর নিতে চলেছেন, এ সময়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বিপজ্জনক জায়গায় কাজ করেছেন।’
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এই প্রথম আমরা তার অপহরণকারীদের প্রকাশিত ভিডিওটির মাধ্যমে জানতে পারি তিনি বেঁচে আছেন। কিন্তু তিনি ভালো নেই। তার বয়স ষাটোর্ধ। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। ছয় মাসে তিনি দিনের আলো দেখেননি...।’
তিনি আর্জি জানান, ‘আমি এ বার্তাটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার এক মরিয়া অনুরোধ হিসাবে উপস্থাপন করছি। আমরা অসহায়, আমরা জানি না কিভাবে আমাদের চাচাকে সাহায্য করতে হবে।’
সূত্র : ইউএনবি