০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কুবি প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামায শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নামায আদায় করতে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম রেজাকে পথ থেকে সরে দাঁড়াতে বলে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান। নামায শেষে রায়হানের কাছে বিষয়টি জানতে চায় বঙ্গবন্ধু হলের সেলিম রেজা, রিফাতসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্রলীগের নেতারা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং উভয় পক্ষ হলে ফিরে যায়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের কর্মী সেলিম রেজা বলেন, আমরা কয়েকজন মসজিদে যাওয়ার জন্য বাহির হই।
হলের গলি দিয়ে হাটাঁর সময় রায়হান ভাই হুট করে পিছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে বলে তুই সরে দাঁড়া। নামাজ শেষে বিষয়টি বন্ধুদের জানালে আমিসহ রায়হান ভাইয়ের কাছে জানতে চাই কেন এমন আচরণ করেছে। এসময় তিনি আমাদের উপর চড়াও হন। বিষয়টি নিয়ে নজরুল হলের ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল রায়হান জানান, আমি নামাজে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু হলের ভিতর দিয়ে তাকে সাইড দিতে বলায় নামাজ শেষে আমার সাথে আমাকে ডেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে কেন ধাক্কা দিতে যাব? বলেছি তাড়াতাড়ি হাঁট না হলে জায়গা দে। এবিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, সিনিয়র জুনিয়র ভুল বুঝাবুঝি হলে আমরা দুই হলের সিনিয়ররা মিলে তা মিমাংসা দিয়েছি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ, নামাজ থেকে বের হয়ে দেখি দুই হলের ছেলেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হচ্ছে আমি তখন তাদের যার যার হলে চলে যেতে বলি।
আমরা দুই হলের লোকজনের সাথে এটা নিয়ে বসে মীমাংসা করে দিব। তিনি আরও বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে দলের নাম খারাপ করার চেষ্টা করবে তাদের তো আমরা থামাতে পারব না। তবে কেউ এমনকিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে আসছি।