১৯ অক্টোবর, ২০২২
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা অন্তর চন্দ্র সরকার। সেটাই কাল হল তার। তিনি অবৈধভাবে ভারতে এসে বন্ধুর সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া একটি পুকুর পাড়ে বসে মদ খাচ্ছিলেন।
মি. সরকারের এখন ঠাঁই হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জেলে।ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলা পুলিশ বলছে, তারা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মধুপুর থানা এলাকা থেকে অন্তর চন্দ্র সরকার নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।
একজনের বৈধ ভারতীয় ভিসা ছিল
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রাথমিকভাবে দু'জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছিল কসবা কালীতলা এলাকা থেকে। তবে তপন চন্দ্র সরকার নামের এক ব্যক্তি বৈধ ভারতীয় ভিসা দেখাতে পারায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।কিন্তু আটক হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি, অন্তর চন্দ্র সরকারকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বিভাস দাস বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "গত রবিবার বিএসএফ ওই দু'জনকে আটক করে কসবা কালীতলা থেকে। এরা দু'জনেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তপন চন্দ্র সরকার দুর্গাপুজোর সময়ে বৈধ ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন তার আত্মীয় বাড়িতে।"
বন্ধুর কথা মনে পড়ে
বেশ কিছুদিন ভারতে ঘোরাঘুরি করার পরে তার মনে পড়ে যায় বন্ধু অন্তরের কথা।"তপন চন্দ্র বাংলাদেশে তার বন্ধুকে ফোন করে বলে ভারতে চলে আসতে। দু'জনে একসঙ্গে মদের পার্টি করবে। সে যেহেতু বেশ কিছুদিন ত্রিপুরায় ঘোরাঘুরি করছে, তাই এলাকাটা তার মোটামুটি চেনা হয়ে গিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। তাই কোন জায়গা দিয়ে সহজে সীমান্ত পেরনো যায়, সেটা আন্দাজ করেই বন্ধুকে ডেকে পাঠায়," জানাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মি. দাস।তার কথায়, কসবা কালীতলা এলাকায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আছে, তবে ওই অঞ্চলে চোরাচালানের রুটও আছে। কিছু জায়গায় বেড়া কাটাও রয়েছে চোরাচালানকারীদের দৌলতে।
পুকুর পাড়ে মদের আসর
"এরকমই একটা জায়গা দিয়ে বেড়া পেরিয়ে অন্তর চন্দ্র সরকার ভারতে প্রবেশ করে। তারা একটা পুকুরপাড়ে বসে মদ্যপান করছিল। সেই সময়েই বিএসএফের প্রহরীরা তাদের আটক করে। একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে অন্তর চন্দ্র সরকারকে আদালত থেকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে," জানালেন বিভাস দাস।তাদের কাছ থেকে মদের বোতল, মদ্যপানের কিছু আনুষঙ্গিক উপকরণ, বিড়ির প্যাকেট, কিছু বাংলাদেশী আর ভারতীয় টাকা এবং একটি মালয়েশিয়ার মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি