এতিম শিশুদের লিখতে নির্বাচনের পোস্টার

০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পোস্টারগুলো দিয়ে একটি মহান কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

পোস্টারগুলোকে এতিম শিশুদের লেখার খাতা ও এর প্লাস্টিক শীতের কাপড় ও প্যাকেট তৈরির কাজে লাগানোর ঘোষণা দিলছিল সংগঠনটি।

সেই ঘোষণার পর এগিয়ে এসেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে মেয়র পদে লড়াই করা প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

এতিমদের পড়াশোনার কাজে ব্যয় করতে অব্যবহৃত পোস্টারগুলো বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ইশরাক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন।

ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইশরাক, যেখানে দেখা গেছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন -২০২০ এ অব্যবহৃত নিজের পোস্টারের দুটো বান্ডেল বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দুই স্বেচ্ছাসেবীর কাছে হস্তান্তর করছেন ইশরাক।

ছবির ক্যাপশনে ইশরাক লিখেছেন, অব্যবহৃত সমস্ত পোস্টার বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করলাম। তারা কাগজ দিয়ে দরিদ্র ও পথশিশুদের জন্য বই তৈরি করবে।

ইশরাকের এমন উদ্যোগ বেশ প্রশংসা পেয়েছে নেটিজেনদের মাঝে।

ইশরাকের প্রশংসা করে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী লিখেছেন, চমৎকার এক উদ্যোগ। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দেবেন।

ইউসুফ হোসেন লিখেছেন, যে দলেরই হোক ভালো কাজকে সম্মান এবং সাধুবাদ জানানো উচিত। সবাই যদি বদলে যায়, বদলে যাবে দেশ এবং দেশের মানুষের ভাগ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

জাকির হোসেন লিখেছেন, মেয়র হতে পারেননি তো কি হয়েছে, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে কোনো কাজে পিছপা হবেন না বলে আশা করে আপনার সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পোস্টার নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এসব পোস্টারকে নাগরিক জঞ্জাল ও দূষণের অন্যতম উপকরণ বলে অভিহিত করেন সচেতনরা।

বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান নগরবাসীরা। এমন পরিস্থিতিতে পোস্টারগুলো কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

নির্বাচনে ব্যবহৃত অকেজো পোস্টারগুলো সংগ্রহ শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

তাদের এ উদ্যোগে বেশ সাড়াও মিলছে।

এ বিষয়ে ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, কাউন্সিলররা নিজেরাই তাদের কাছে পোস্টার তুলে দিচ্ছেন। আগারগাঁও, মিরপুর, শ্যামলীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থীরা নিজ থেকে যোগাযোগ করছেন। তারা পোস্টারগুলো নিয়ে আসতে স্বেচ্ছাসেবকদের অনুরোধ করছেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী বা যে প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে সেভাবে পোস্টারগুলো ব্যবহার করতে পারেননি, তারাও ফোন দিচ্ছেন। বলছেন, বাসায় জমে থাকা পোস্টারগুলো নিয়ে যেতে।