রংপুরে অবৈধ বিড়ি বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

২৩ নভেম্বর, ২০২২

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ বিড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার সাহা এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অবৈধ পণ্য উৎপাদন ও মজুদের দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমান করা হয়েছে।

পুলিশ জানান, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে রংপুরের বিভিন্ন স্থানে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল মন্থনা বাজার, পীরেরহাট এবং বড়াইবাড়ীর বিভিন্ন দোকান ও গোডাউনে অভিযান ও তল্লাশি চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সত্তর হাজার তিনশত পঁচাত্তর (৭০৩৭৫) শলাকা কমদামী অবৈধ স্টার আকিজ বিড়ি, হোসেন বিডি ও কৃষক বিড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযানকালে অবৈধ পণ্য উৎপাদন ও মজুদ করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারা লংঘনের অপরাধে তিনজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার দ্রুত শুনানি শেষে মোজাহিদুল ইসলামকে দশ হাজার (১০,০০০) টাকা, সাইফুল ইসলামকে দুই হাজার (২,০০০) টাকা এবং সুভোদ চন্দ্রকে দশ হাজার (১০,০০০) টাকা জরিমান করা হয়। অভিযানে তিন ব্যক্তিকে মোট বাইশ হাজার (২২,০০০) টাকা জরিমান করা হয়েছে।   

অভিযানকালে অবৈধ বিড়ি সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত না করা শর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার সাহা জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।