১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
‘হে কবি! নীরব কেন-ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কী তবব বন্দনায়?’ বসন্ত আসলেই সুফিয়া কামালের সেই প্রশ্নটি বেজে উঠে সবার মনে। আর তারই জবাব দিতে মন জেগে উঠে নতুনভাবে। ফাল্গুনের আগমনে রঙিন হয়ে ওঠে সে মন। চলে বসন্ত বরণের নানা আয়োজন। ফাগুনের ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৭৫ একরের সবুজ চত্বর। ঋতুর রাজনকে বরণ করতে চারদিক সেঁজেছে নবসাজে। সবুজ ক্যাম্পসকে বাসন্তী রং যেন দিয়েছে নতুন রুপ।
বসন্তের আগমনী গানে সাড়া দিয়ে বাসন্তী সাজে সেজেছে তরুণীরা। বাসন্তী রংয়ের শাড়ীর সাথে খোঁপায় গেঁথেছে বাসন্তী ফুল। গালে শোভা পেয়েছে রংতুলির মনকাঁড়া আল্পনা। তরুণদের বসনেও রয়েছে বসন্তের ছোঁয়া। বাদ যায়নি শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধরাও। ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রাঙ্গন মুখর হয়ে উঠেছে বর্ণিল সাজে সজ্জিত তরুণ-তরুণীদের পদচারণায়।
জমকালো আয়োজনে বসন্তকে বরণ করে নিয়েছে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়। বাংলা বিভাগের আয়োজনে শনিবার সকাল ১১টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে এক বাসন্তী শোভাযাত্রা বের হয়। বাঙালী ঐতিহ্যের হলুদ শাড়ি ও পাঞ্জাবী পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অনুষদ ভবনের পাশে আ¤্রকাননে অবস্থিত বাংলা মঞ্চে এসে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অনি আতিকুর রহমান ও ওয়াহিদা খানম আশার সঞ্চালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। শিক্ষার্থীদের নৃত্য, গান, নাটক, আবৃত্তিতে মুখর হয়ে উঠে অনুষ্ঠান। সেইসাথে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ একে আরো আনন্দঘন করে তোলে।