ইবির লালন শাহ হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা

১৮ মার্চ, ২০২৩

ইবি প্রতিনিধি:  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হল ছাত্রলীগ। শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে  হলের টেলিভিশন কক্ষে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।  এসময় ইবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা মুজিব আদর্শ, বর্তমান বাংলাদেশের অবকাঠামগত উন্নয়নে শেখ হাসিনার ভূমিকা, ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু,  মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থিত বক্তব্য প্রদান করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ আলভী ও জিয়া হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধরণ সম্পাদক তামিম আদনান।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন হল ছাত্রলীগকর্মী বিজন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে  ইয়াসিন ও তানভীর।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। একইসাথে এর আগে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দাবা এবং ক্যারাম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

দাবায় খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাজ ও রানার্সআপ হয়েছেন রক্তিম। ক্যারমে আদনান ও পলাশ বিজয়ী হন এবং মাসুদ ও মেহেদী রানার্সআপ হয়েছেন। 

অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলা করার জন্য সবদিক থেকে দক্ষ ও স্মার্ট  হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট ছেলেরাই একমাত্র ছাত্রলীগ করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগ সবার আগে নেতৃত্ব দিবে।

তিনি আরো বলেন, আজ লালন শাহ হলে যে প্রগতিশীলতার চর্চা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর আলোচনা হচ্ছে এক সময় এ পরিবেশ ছিল না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন হওয়ায় অনেক সময় কুচক্রি মহল ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করার জন্য অনেক নেতিবাচক কাজ করে থাকে। কিন্তু ছাত্রলীগ সব সময় ইতিবাচক কাজের শিরোনাম হতে চায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চায়। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ করতে চায়