২০ মার্চ, ২০২৩
বিশ্বকাপের বছরে জোরদার ধাক্কা খেল ভারতের প্রস্তুতি। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাজনক হারের মুখ দেখতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। নিজেদের ঘরে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের কাছে হার অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে বিশাখাপত্তনমের স্টেডিয়ামে যেভাবে ব্যাটে-বলে আত্মসমর্পণ করেন রোহিতরা, তা নিতান্ত দৃষ্টিকটু মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কোনো রকম পাল্টা লড়াইয়ের লক্ষণ চোখে পড়েনি ভারতের খেলায়।
রোববার টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৬ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৯ ওভার বাকি থাকতে ১০ উইকেট ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
ঘরের মাঠে অজিদের কাছে ১০ উইকেটে ওয়ান ডে ম্যাচ হার ভারতের এই প্রথম নয়। এর আগেও তারা একবার এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে পড়ে। ২০২০ সালে মুম্বইয়ের ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো দলের কাছে ভারত নিজেদের মাঠে ১০ উইকেটে ওয়ান ডে ম্যাচ হারেনি।
আরো লজ্জাজনক বিষয় হলো, বল বাকি থাকার সমীকরণে এটিই ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের সব থেকে বড় হার। বিশাখাপত্তনমে ভারতকে ৩৯ ওভার অর্থাৎ ২৩৪ বল বাকি থাকতে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া। এত বেশি বল বাকি থাকতে আগে কখনো ওয়ান ডে ম্যাচ হারেনি তারা। এর আগে ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২১২ বল বাকি থাকতে হার মানে ভারত। এত দিন সেটিই ছিল ভারতের সব থেকে বড় ওয়ান ডে হারের হতাশাজনক রেকর্ড।
বল বাকি থাকার সমীকরণে ভারতের সব থেকে বড় ওয়ান ডে হার :
১. বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই ম্যাচে ২৩৪ বল বাকি থাকতে পরাজিত হয়।
২. ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২১২ বল বাকি থাকতে পরাজিত হয়।
৩. ২০১০ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার কাছে ২০৯ বল বাকি থাকতে হেরে বসে।
৪. ২০১২ সালে হাম্বান্তোতায় শ্রীলঙ্কার কাছে ১৮১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারে।
৫. ২০১৭ সালে ধরমশালায় শ্রীলঙ্কার কাছে ১৭৬ বল বাকি থাকতে বিধ্বস্ত হয়।
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত এই ম্যাচেই সব থেকে কম রানের ওয়ান ডে ইনিংস গড়ে। সেদিক থেকে সব থেকে ছোট ইনিংস গড়ে সব থেকে বড় হারের মুখ দেখতে হলো ভারতকে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস