২৫ মে, ২০২৩
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়েছে গণনা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে।কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিতে অনেকের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে দেরি হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘আমি সবসময় জনগণের মতামতকে সম্মান করি এবং আজ যেই নির্বাচিত হোক না কেন, আমি ফলাফল মেনে নেব।’
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন সকাল ১০টার দিকে ভোট দেয়ার পর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে। আমি নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’গাজীপুর নির্বাচনে মোট আটজন প্রার্থী মেয়র পদের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি। নির্বাচন পরিচালনায় থাকছে ৪৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, প্রায় সাড়ে তিন হাজার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, প্রায় সাত হাজার পোলিং অফিসার ও প্রায় ১২ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। দলটি বলছে, ২০১৮ সালের অভিজ্ঞতা থেকে তারা এ সরকারের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলেই মনে করে অনেকে।তফসিল অনুযায়ী দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের মধ্যে ২৫ মে ভোট হচ্ছে গাজীপুরে। এরপর ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।