১৬ জুন, ২০২৩
ভারতের গুজরাট উপকূলে আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটে সৌরাষ্ট্র ও কুচ জেলার মধ্যবর্তী জাখাও বন্দরনগরীতে আছড়ে পড়তে শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুরো অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলবে। ওই সময়ের মধ্যে ‘বিপর্যয়’র গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিমি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি কয়েক ঘণ্টা গুজরাটজুড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে ধারণা করছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র প্রভাবে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট এবং পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিন্ধু উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ৯৪ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও নির্মাণ বিভাগের ১১৫টি দল এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দল উপকূলীয় জেলাগুলোতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৫টি ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬২ হাজার লোককে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস সন্ধ্যা ৬টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মধ্যরাতের দিকে করাচিতে আঘাত হানতে পারে ‘বিপর্যয়’। এটি করাচি থেকে ২২৪৫ কিলোমিটার, থাট্টা থেকে ২১০ কিলোমিটার এবং কেটি বন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। গুজরাট ও করাটির কেটি বন্দরের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে আঘাত হানার পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি)।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, ডন